ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব নেতারা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা তুলে নিতে অনুরোধ করলেও সরকারের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ইউনূসকে নিয়ে বিশ্ব নেতাদের বিবৃতিতে তথ্যগত ঘাটতির কারণ দেখছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকের কাছে ড. ইউনূসের বিষয়টা খুব স্পষ্ট নয়। অনেকের মনে হচ্ছে, ওনাকে রাজনৈতিক কারণে বা অন্য কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করে নাই। তার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। একজন নোবেলবিজয়ী হিসেবে তাকে আমরা সম্মান জানাই।
তিনি বলেন, ওনার বিরুদ্ধে দুটো মামলা রয়েছে। এসব ব্যাপারে হয়তো যারা চিঠিপত্র লিখেছেন, তারা হয়তো জানেন না। তারা ভাবছে, হয়তো রাজনৈতিক কারণে ওনাকে হয়রানি করা হচ্ছে। দুটো টেকনিক্যাল ইস্যু। একটা কর ফাঁকি, আরেকটি লেবারদের পয়সা না দেওয়া, চিটিং করা। এটা সরকার হয়রানিমূলক করে নাই। দুনিয়ার সব দেশে কর ফাঁকি দিলে বড় ধরনের মামলা হয়।
ইউনূস ইস্যুতে যেসব বিশ্ব নেতারা চিঠি লিখেছেন তারা জানতে চাইলে মামলার তথ্য-উপাত্ত সরকার শেয়ার করতে প্রস্তুত বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা নামিদামি লোকদের বলতে চাই, আমাদের আইন ব্যবস্থা খুব স্বচ্ছ এবং স্বাধীন। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। আদালতের সিদ্ধান্ত। আমাদের আদালতকে এপ্রোচ করার কোনো ক্ষমতা নাই।
সম্প্রতি শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূসকে দণ্ড দেওয়া হতে পারে এ আশঙ্কায় ১০০ জনেরও বেশি নোবেলবিজয়ীসহ ১৭৫ জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। প্রথমে ১৬০ জন বিশ্বনেতা এই খোলা চিঠিতে সই করলেও পরে আরও ১৫ জন এতে সই করেন এবং ৮ জন সাধারণ নাগরিকসহ এই সংখ্যা বেড়ে মোট ১৮৩ জন হয়েছে। সবশেষ, বুধবার (৩০ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন।
আর.এইচ/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন